ওসমানী জাদুঘরে গেলে খাওয়া দাওয়ার সুযোগ সুবিধা Archives - Proggapan https://proggapan.com/tag/ওসমানী-জাদুঘরে-গেলে-খাওয/ Notice | Job Circular News In Bangladesh Thu, 03 Feb 2022 14:57:59 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.5.3 https://proggapan.com/wp-content/uploads/2022/01/favicon.ico ওসমানী জাদুঘরে গেলে খাওয়া দাওয়ার সুযোগ সুবিধা Archives - Proggapan https://proggapan.com/tag/ওসমানী-জাদুঘরে-গেলে-খাওয/ 32 32 ওসমানী জাদুঘর সিলেট | Osmani Museum Sylhet https://proggapan.com/%e0%a6%93%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%98%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%9f-osmani-museum-sylhet/ https://proggapan.com/%e0%a6%93%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%98%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%9f-osmani-museum-sylhet/#respond Thu, 03 Feb 2022 14:57:56 +0000 https://proggapan.com/?p=2265 ওসমানী জাদুঘর সিলেট | Osmani Museum Sylhet. ওসমানী জাদুঘর হচ্ছে বাংলাদেশের সিলেট জেলার কোতোয়ালী থানায় অবস্থিত একটি জাদুঘর। বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (১২ এপ্রিল ১৯৭১– ৭ এপ্রিল ১৯৭২) বঙ্গবীর জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানীর পৈতৃক নিবাস থেকে পরিবর্তন করে বর্তমান ওসমানী জাদুঘরে স্থানান্তর করা হয়। এটি সিলেটের ধোপা দিঘীর পাড় এলাকায় অবস্থিত। ওসমানী জাদুঘর সিলেট অবস্থান এবং বিবরণ: ওসমানী জাদুঘরের প্রবেশপথ। ওসমানী জাদুঘর সিলেট ওসমানী […]

The post ওসমানী জাদুঘর সিলেট | Osmani Museum Sylhet appeared first on Proggapan.

]]>
ওসমানী জাদুঘর সিলেট | Osmani Museum Sylhet. ওসমানী জাদুঘর হচ্ছে বাংলাদেশের সিলেট জেলার কোতোয়ালী থানায় অবস্থিত একটি জাদুঘর। বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (১২ এপ্রিল ১৯৭১– ৭ এপ্রিল ১৯৭২) বঙ্গবীর জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানীর পৈতৃক নিবাস থেকে পরিবর্তন করে বর্তমান ওসমানী জাদুঘরে স্থানান্তর করা হয়। এটি সিলেটের ধোপা দিঘীর পাড় এলাকায় অবস্থিত।

ওসমানী জাদুঘর সিলেট

অবস্থান এবং বিবরণ: ওসমানী জাদুঘরের প্রবেশপথ। ওসমানী জাদুঘর সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে এবং সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযোদ্ধা এম এ জি ওসমানীর অসামান্য অবদানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃক এই জাদুঘরটি রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালিত হয়। এই জাদুঘর নতুন প্রজন্মের জন্য নিঃসন্দেহে উদ্দীপনার উৎস হয়ে কাজ করবে। এই জাদুঘরের ভিত্তি প্রস্তর ১৯৮৫ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি স্থাপন করা হয় এবং ৪ মার্চ ১৯৮৭ সালে তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ কর্তৃক উদ্বোধন করা হয়।

ওসমানী জাদুঘর এর নূর মঞ্জিল

নূর মঞ্জিল হচ্ছে পাশের এবং কিছু কক্ষ সমেত টিনের-চালার একটি বিশাল ভবন যার সামনে একটি বারান্দা রয়েছে। জাদুঘরে পৌঁছানোর জন্য প্রধান গেট থেকে মাত্র কয়েক মিটার হাঁটতে হয়। প্রবেশকক্ষে দর্শনার্থীদের অভ্যর্থনা জানাতে জেনারেলের বিপুল প্রতিকৃতি রয়েছে। অথিতিদের স্বাগত জানানোর জন্য অভ্যর্থনাকারীরা রয়েছেন। অভ্যর্থনা কক্ষে একজন দর্শনার্থীদের নাম এবং ঠিকানা লিখায় নিয়োজিত থাকেন। প্রবেশকক্ষে বসার জন্য একটি মানানসই জায়গাও রয়েছে। ঐতিহাসিক এই জাদুঘরটিতে তিনটি গ্যালারী আছে, যেখানে জেনারেল ওসমানীর ব্যক্তিগত জিনিসপত্র এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ঐতিহাসিক আলোকচিত্র সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। ভবনের পশ্চিম এবং পূর্ব উভয় পাশে দুটি ছোট্ট কক্ষ বিদ্যমান, যেখানে সহকারী রক্ষক এবং তত্ত্বাবধায়কের কামরা অবস্থিত।

ওসমানী জাদুঘর এর গ্যালারী ১

সম্পূর্ণ কক্ষটি নানান ধরনের শোপিস দিয়ে শয়নকক্ষের মতো করে সাজানো হয়েছে। বেতের তৈরি ৪ টি চেয়ার এবং দুটি কেন্দ্রীয়-টেবিল, একটি সাধারণ ওয়ারড্রব এবং উভয় দিকে টেবিল সহ একটি কাঠের পালঙ্ক রয়েছে। জেনারেল ওসমানীর হাতঘড়ি, যা তিনি মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত পড়েছেন; সামরিক লাঠি, দুটি ব্রিফক্যাস, একটি টেলিফোন সেট, কিছু সংখ্যক বইপত্র এবং ব্যবহৃত মাটির বাসনপত্র একপাশে রয়েছে। অন্যপাশে একটি আলনা, যেটাতে দুটি স্যুট, দুটি ইউনিফিরম (খাকি এবং গাঁড় সবুজ), দুটি শার্ট (সাদা এবং ঈষৎ নীল), দুটি পাঞ্জাবী, বাদামী হাতাসহ একটি কোট, চার জোড়া জুতা যার মধ্যে একজোড়া হচ্ছে মিলিটারি বুট, একটি কালো ছাতা এবং পিঙ্গলবর্ণের সুসজ্জিত চলার লাঠি দিয়ে কক্ষটি সাজানো। একটি চক্রাকার টেবিল এবং কাঠের বইয়ের-তাক আছে যেটাতে “হোজ হো ইন দ্য ওয়ার্ল্ড” (সংস্করণ: ১৯৭৮–১৯৭৯ এবং ১৯৮০–১৯৮১) সহ দেশি বিদেশি বই ও ম্যাগাজিন এক কোণায় রয়েছে। ওসমানীর অতিপ্রিয় পিতার কোলে ছবি সহ দেয়ালে একজন মানবসম প্রতিকৃতি রয়েছে এমনকি প্রদর্শনের জন্য অনেক আলোকচিত্রও রয়েছে।

ওসমানী জাদুঘর এর গ্যালারী ২

বসার কক্ষের মতো করে সাজানো কক্ষে রয়েছে, বেতনির্মিত কিছু আসবাবপত্র, যেমন– চারটি ১-আসন বিশিষ্ট, একটি ৩-আসন বিশিষ্ট এবং একটি ২-আসন বিশিষ্ট চেয়ার, একটি কেন্দ্রীয় টেবিল, দুটি পার্শ্ব টেবিল ইত্যাদি। বহু মূল্যবান এবং ঐতিহাসিক জিনিসপত্র সমেত তিনটি সোকেস রয়েছে। এর প্রথমটিতে জেনারেলের ব্যাজসমূহ, পদক, পদমর্যাদা ক্রম এবং জেনারেল ওসমানীর পাসপোর্ট রয়েছে। দ্বিতীয়টিতে স্মারকচিহ্ন, স্মরণিকা এবং ক্রেস্টসমূহ রয়েছে। এবং তৃতীয় সোকেসে বহুসংখ্যক প্রমাণপত্রাদি প্রদর্শন করা হয়, যেগুলোর মধ্যে স্বাধীনতা পুরস্কার-১৯৮৫ এবং এর নিমন্ত্রণ পত্র, একই সাথে পুরস্কার বিজেতার সংক্ষিপ্ত জীবনীও রয়েছে। একটি কার্ডে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর অটোগ্রাফ সংবলিত খাম রয়েছে যা তিনি জেনারেল ওসমানীর কাছে প্রেরণ করেছিলেন। আটটি বিশাল চিত্রকর্ম উপরের দেয়ালে টাঙানো আছে। কক্ষটির দেয়ালে অনেক ঐতিহাসিক ছবিও রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হল; ১৯৭২ সালে সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণের পর, জেনারেল ওসমানী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে প্রত্যাবর্তনের পর আগমন উপলক্ষে ১০ মার্চ ১৯৭২ সালে সেনাবাহিনী কর্তৃক আয়োজিত সম্মান প্রদর্শন অনুষ্ঠানে দর্শকদের সামনে বক্তৃতা দিচ্ছেন, জেনারেল ওসমানী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের সাথে, মুজিবনগর সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সাথে, বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সাথে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সাথে,বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের সাথে, ১৯৮১ সালে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট কেন্দ্রে শহীদ পরিবারের সাথে ইত্যাদি।

ওসমানী জাদুঘর এর গ্যালারী ৩

কালো বর্ণের একটি পড়ার টেবিল এবং চেয়ার, পালঙ্ক, নামাযের চৌকি, জায়নামাজ, নামাযের টুপি ইত্যাদি প্রদর্শনের জন্য নিখুঁতভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। অন্যান্য যেসব জিনিসপত্র আছে তার মধ্যে- একটি কৃষ্ণকায় আলমারি, একটি ফ্রিজ, ছয়টি চেয়ার সহ একটি খাবার-টেবিল, প্রাচীন চীনামাটির বাসনকোসন এবং অন্যান্য জিনিস উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে জেনারেলের ব্যবহৃত বাংলাদেশের অপারেশনাল মানচিত্রও (স্কেল ১: ২,৫০,০০) প্রদর্শনের জন্য এই কামরায় রাখা হয়েছে, যেখানে সভ্য সমাজ কর্তৃক উপস্থাপিত বহু প্রমাণপত্রাদিও রয়েছে।

ওসমানী জাদুঘর  সম্পর্কিত তথ্য

ওসমানী জাদুঘর শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার ছাড়া বাকি দিনগুলোতে খোলা থাকে। রবি থেকে বুধবার পর্যন্ত এটি সকাল ১০ঃ৩০ থেকে বিকাল ৫ঃ৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে। শুক্র এবং শনিবার এটি বিকাল ৩ঃ৩০ থেকে ৫ঃ৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে। জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এম এ জি ওসমানীর জন্মদিন (১লা সেপ্টেম্বর) এবং মৃত্যুবার্ষিকী (১৬ ফেব্রুয়ারি) উদ্‌যাপন করে থাকে, এর পাশাপাশি জাদুঘর প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস (২৬শে মার্চ) এবং বিজয় দিবস (১৬ই ডিসেম্বর) পালন করা হয়।

ওসমানী জাদুঘর এর বিশেষত্ব

বঙ্গবীর জেনারেল মুহাম্মাদ আতাউল গনি ওসমানীর পৈতৃক নিবাস “নূর মঞ্জিল”-কে বর্তমানে ‘ওসমানী জাদুঘর’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ১৯৮৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এই জাদুঘরটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় এবং বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ ১৯৮৭ সালের ৪ মার্চ এর উদ্বোধন করেন।

‘নুর মঞ্জিল’ কয়েকটি কক্ষ সমৃদ্ধ একটি টিনশেড ভবন যার সামনে রয়েছে একটি চমৎকার চত্বর। জাদুঘরে পৌছাতে হলে মূল ফটক থেকে কয়েক মিটার পথ অতিক্রম করতে হয়। জাদুঘরে ঢোকার মুখেই জেনারেল ওসমানীর একটি বিশাল প্রতিকৃতি আছে। অভ্যর্থনা কক্ষে রক্ষিত রেজিস্টারে নাম ও ঠিকানা লিপিবদ্ধ করতে হয়। জাদুঘরটির তিনটি চিত্রশালাতে জেনারেল ওসমানীর ব্যবহার করা জিনিসপত্র ছাড়াও বেশকিছু ঐতিহাসিক ছবি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। জাদুঘর ভবনের পশ্চিম এবং পূর্ব প্রান্তে জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক এবং সহযোগী তত্ত্বাবধায়কের কক্ষ অবস্থিত।

বৃহস্পতিবার ব্যাতিত সপ্তাহের অন্যান্য সবদিন এই জাদুঘরটি খোলা থাকে। এই জাদুঘরটি দুপুর ৩:৩০ মিনিট থেকে বিকাল ৫:৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে। জাদুঘরটি পরিদর্শনের জন্য দর্শনার্থীদের পূর্বে কোন প্রবেশ মূল্য দিতে হতো না; বর্তমানে ২০ টাকা দিতে হয়। জাদুঘরের পক্ষ থেকে জেনারেল এম এ জি ওসমানীর জন্মদিবস (১ সেপ্টেম্বর), মৃত্যুদিবস (১৬ ফেব্রুয়ারি), স্বাধীনতা দিবস (২৬ মার্চ) এবং বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর) পালন করা হয়ে থাকে।

ওসমানী জাদুঘরে স্থলপথে কীভাবে যাবেন

সড়কপথে ঢাকা হতে প্রথমে সিলেট যেতে হবে; অতঃপর সেখান থেকে জাদুঘরটিতে যেতে হবে। ঢাকা হতে সড়কপথে সিলেটের দূরত্ব ২৪১ কিলোমিটার এবং রেলপথে ঢাকা হতে সিলেট রেল স্টেশনের দূরত্ব ৩১৯ কিলোমিটার। সিলেট এসে সেখান থেকে রিক্সা বা সিএনজি অটো রিক্সায় অতি সহজেই নাইওর পুল আসা যায়।

  • সিলেটের মূল বাস স্ট্যান্ড কদমতলী বাস টার্মিনাল অথবা রেল স্টেশন থেকে নাইওর পুলস্থ জাদুঘরটিতে আসার জন্য ভাড়া হবেঃ
    • রিক্সায় – ৩০/- – ৫০/-;
    • সিএনজিতে – ৮০/- – ১২০/-।

ওসমানী জাদুঘরে সড়কপথে কীভাবে যাবেন

ঢাকার সায়েদাবাদ বাস স্টেশন থেকে সিলেটে আসার সরাসরি দুরপাল্লার এসি ও নন-এসি বাস সার্ভিস আছে; এগুলোতে সময় লাগে ৪.৩০ হতে ৬ ঘণ্টা। ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে আল-মোবারাকা সোহাগ, হানিফ, শ্যামলী, এনা, ইউনিক, মামুন, সাউদিয়া, গ্রীনলাইন, মিতালি প্রভৃতি পরিবহন কোম্পানীর বাস আছে প্রতি ১০ মিনিট পর পর।

  • সোহাগ পরিবহন: ☎ ০২-৯৩৩১৬০০ (ফকিরাপুল), ৯১৩২৩৬০ (কমলাপুর), ৯১৩২৩৬০ (কল্যাণপুর), ৭১০০৪২২ (আরমবাগ), ০৮২১-৭২২২৯৯ (সোবাহানীঘাট, সিলেট);
  • আল-মোবারকা পরিবহন: ☎ ০২-৭৫৫৩৪৮৩, ০৪৪৭৭৮০৩৪২২, মোবাইল: +৮৮০১৭২০-৫৫৬১১৬, +৮৮০১৮১৯-১৮৩৬১১, +৮৮০১৭১৫-৮৮৭৫৬৬;
  • গ্রীন লাইন পরিবহন: ☎ ০২-৭১৯১৯০০ (ফকিরাপুল), +৮৮০১৭৩০-০৬০০৮০ (কল্যাণপুর), ০৮২১-৭২০১৬১ (সোবাহানীঘাট, সিলেট);
  • হানিফ এন্টারপ্রাইজ: মোবাইল +৮৮০১৭১৩-৪০২৬৬১ (কল্যাণপুর), +৮৮০১৭১১৯২২৪১৩ (কদমতলী বাসস্ট্যান্ড, সিলেট);
  • শ্যামলী পরিবহন: ☎ ০২-৯০০৩৩১, ৮০৩৪২৭৫ (কল্যাণপুর), +৮৮০১৭১৬০৩৬৬৮৭ (কদমতলী বাসস্ট্যান্ড, সিলেট)।
  • ঢাকা-সিলেট রুটে সরাসরি চলাচলকারী পরিবহনে আসার ক্ষেত্রে ভাড়া হলোঃ
    • এসি বাসে – ৯০০/- (রেগুলার) ও ১২০০/- (এক্সিকিউটিভ) এবং
    • নন-এসি বাসে – ৪৭০/-।

ওসমানী জাদুঘরে রেলপথে কীভাবে যাবেন

ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন বা চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ট্রেনে সরাসরি আসা যায়। কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে প্রতিদিন একাধিক ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকা – সিলেট এবং চট্টগ্রাম – সিলেট রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো হলোঃ

  • ৭১০ পারাবত এক্সপ্রেস – সিলেট হতে দুপুর ০৩ টায় ছাড়ে এবং ঢাকায় রাত ০৯ টা ৪৫ মিনিটে পৌছে (মঙ্গলবার বন্ধ) ও ঢাকা থেকে ভোর ০৬ টা ৩৫ মিনিটে ছাড়ে এবং সিলেট পৌছে দুপুর ০১ টা ৪৫ মিনিটে (মঙ্গলবার বন্ধ);
  • ৭১৮ জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস – সিলেট হতে সকাল ০৮ টা ৪০ মিনেটে ছাড়ে এবং ঢাকায় বিকাল ০৪ টায় পৌছে (বৃহস্পতিবার বন্ধ) ও ঢাকা থেকে দুপুর ১২ টায় ছাড়ে এবং সিলেট পৌছে সন্ধ্যা ০৭ টা ৫০ মিনিটে (কোন বন্ধ নেই);
  • ৭২০ পাহাড়ীকা এক্সপ্রেস (শনিবার বন্ধ) সিলেট হতে সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে ছাড়ে এবং চট্টগ্রামে রাত ০৭ টা ৪৫ মিনিটে পৌছে;
  • ৭২৪ উদয়ন এক্সপ্রেস (রবিবার বন্ধ) সিলেট হতে রাত ০৭ টা ২০ মিনিটে ছাড়ে এবং চট্টগ্রামে ভোর ০৫ টা ৫০ মিনিটে পৌছে;
  • ৭৪০ উপবন এক্সপ্রেস – সিলেট হতে রাত ১০ টায় ছাড়ে এবং ঢাকায় ভোর ০৫ টা ১০ মিনিটে পৌছে (কোন বন্ধ নেই) ও ঢাকা থেকে রাত ০৯ টা ৫০ মিনিটে ছাড়ে এবং সিলেট পৌছে ভোর ৫ টা ১০ মিনিটে (বুধবার বন্ধ);
  • ৭৭৪ কালনী এক্সপ্রেস – সিলেট হতে সকাল ০৭ টায় ছাড়ে এবং ঢাকায় দুপুর ০১ টা ২৫ মিনিটে পৌছে (শুক্রবার বন্ধ) ও ঢাকা থেকে বিকাল ০৪ টায় ছাড়ে এবং সিলেট পৌছে রাত ১০ টা ৪৫ মিনিটে (শুক্রবার বন্ধ)।

ঢাকা-সিলেট রুটে চলাচলকারী রেলে ঢাকা হতে সিলেট আসার ক্ষেত্রে ভাড়া হলো –

  • ২য় শ্রেণির সাধারণ – ৮০ টাকা;
  • ২য় শ্রেণির মেইল – ১১০ টাকা;
  • কমিউটার – ১৩৫ টাকা;
  • সুলভ – ১৬০ টাকা;
  • শোভন – ২৬৫ টাকা;
  • শোভন চেয়ার – ৩২০ টাকা;
  • ১ম শ্রেণির চেয়ার – ৪২৫ টাকা;
  • ১ম শ্রেণির বাথ – ৬৪০ টাকা;
  • স্নিগ্ধা – ৬১০ টাকা;
  • এসি সীট – ৭৩৬ টাকা এবং
  • এসি বাথ – ১,০৯৯ টাকা।

ট্রেন সম্পর্কিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন:

  • কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, ☎ ০২-৯৩৫ ৮৬৩৪, ৮৩১ ৫৮৫৭, ৯৩৩ ১৮২২, মোবাইল নম্বর: +৮৮০১৭১১-৬৯১ ৬১২
  • বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, ☎ ০২-৮৯২ ৪২৩৯
  • ওয়েবসাইট: http://www.railway.gov.bd/

ওসমানী জাদুঘরে আকাশপথে কীভাবে যাবেন

সিলেটে সরাসরি বিমানে আসা যায়; ঢাকা থেকে সিলেটের সাথে সরাসরি বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশ বিমান, জেট এয়ার, নোভো এয়ার, রিজেন্ট এয়ার, ইউনাইটেড এয়আর – প্রভৃতি বিমান সংস্থার বিমান পরিষেবা রয়েছে ঢাকা থেকে সিলেটে আসার জন্য।

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি করে ফ্লাইট সপ্তাহে ৪ দিন ঢাকা- সিলেট ও সিলেট-ঢাকা রুটে চলাচল করে; ভাড়া লাগবে একপথে ৩,০০০/- এবং রিটার্ণ টিকিট ৬,০০০/-। সময়সূচী হলোঃ

  • ঢাকা হতে সিলেট – শনি, রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতি – সকাল ১১ টা ২০ মিনিট এবং দুপুর ১২ টায়।
  • সিলেট হতে ঢাকা – শনি, রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতি – দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট এবং দুপুর ০১ টায়।

এই সম্পর্কিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন:

  • কর্পোরেট অফিস: উত্তরা টাওয়ার (৬ষ্ঠ তলা), ১ জসিম উদ্দিন এভিনিউ, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০, ☎ ০২-৮৯৩ ২৩৩৮, ৮৯৩ ১৭১২, ইমেইল: [email protected], ফ্যাক্স: ০২-৮৯৫ ৫৯৫৯
  • ঢাকা এয়ারপোর্ট সেলস অফিস: ডমেস্টিক উইং কুর্মিটোলা, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা-১২৩০, ☎ ০২-৮৯৫ ৭৬৪০, ৮৯৬ ৩১৯১, মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৪৮৬ ৬৬০
  • ওয়েবসাইট:  http://www.uabdl.com/

ওসমানী জাদুঘরে নৌপথে কীভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে বা সিলেট শহর হতে সরাসরি কোনো নৌযান চলাচল করে না।

ওসমানী জাদুঘরে গেলে খাওয়া দাওয়ার সুযোগ সুবিধা

জাদুঘরটির আশেপাশেই প্রচুর হোটেল – রেস্তোরা আছে খাওয়া – দাওয়া করার জন্য। স্থানীয় পর্যায়ের বিখ্যাত খাদ্য হলো আথনী পোলাও ও সাতকরা (হাতকরা)। আরও কিনতে পারবেন স্থানীয় আনারস, কমলা, পান, লেবু, কাঠাল, চা-পাতা, তাজা মাছ। স্থানীয় হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে এসকল দ্রব্যাদির তৈরি নানারকম খাদ্যও পাওয়া যায়। জাদুঘরটির খুব নিকটেই রয়েছে কিছু উন্নতমানের হোটেল-রেস্তোরাঁঃ

  • পানশী রেস্তোরাঁ, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট;
  • পাঁচভাই রেস্তোরাঁ, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট;
  • ভোজনবাড়ি রেস্তোরাঁ, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট;
  • প্রীতিরাজ রেস্তোরাঁ, জল্লারপাড় রোড, জিন্দাবাজার, সিলেট;
  • স্পাইসি রেস্তোরাঁ, সিটি সেন্টার, জিন্দাবাজার, সিলেট, ☎ ০৮২১-২৮৩২০০৮;
  • রয়েলশেফ, মির্জাজাঙ্গাল, সিলেট, ☎ ০৮২১-৭২৩০৯৬।

ওসমানী জাদুঘরে গেলে থাকা ও রাত্রিযাপনের স্থান

জাদুঘরটির নিকটে কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে; তবে তুলনামূলক ভালো মানের হোটের রয়েছে শাহজালালের দরগা এলাকায়। সেখানে থাকার জন্য প্রচুর আবাসিক হোটেল রয়েছে যেগুলোতে সিলেট ভ্রমণে আসা অধিকাংশ পর্যটক অবস্থান করে। এসি এবং নন-এসি – এই উভয় ধরনের রুমের ব্যবস্থা সমৃদ্ধ ঐসকল হোটেলে মান ও বর্ডার ভেদে ভাড়া নেয়া হয় ৩০০/- হতে ২,৫০০/-। এছাড়াও থাকার জন্য আশেপাশেই কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে কিছু উন্নতমানের হোটেলও রয়েছে –

  • হোটেল রোজভিউ ইন্টারন্যাশনাল (৫ স্টার) : উপশহর, সিলেট; ☎ ০৮২১-৭২১৮৩৫, ২৮৩১২১৫০৮-১৪, ২৮৩১৫১৬-২১, মোবাইল: ০১১৯৫১১৫৯৬৪, ইমেইল- [email protected], [email protected]
  • হোটেল ফরচুন গার্ডেন : জেল রোড, সিলেট, ☎ ০৮২১-৭১৫৫৯০, ৭২২৪৯৯, ফ্যাক্স: ০৮২১-৭১৫৫৯০, মোবাইল: +৮৮০১৭১১-১১৫১৫৩, ইমেইল- [email protected], ওয়েব: www.hotelfortunegarden.com
  • হোটেল ডালাস : তামাবিল রোড, মিরাবাজার, সিলেট, ☎ ০৮২১-৭২০৯৪৫, ৭২০৯২৯, ইমেইল- [email protected], ওয়েব: www.hoteldallassylhet.com
  • হোটেল সুপ্রিম : তামাবিল রোড, মিরাবাজার, সিলেট, ☎ ০৮২১-৮১৩১৬৯, ৭২০৭৫১, ৮১৩১৭২, ৮১৩১৭৩, ফ্যাক্স: ০৮২১-৮১৩১৭১, মোবাইল: +৮৮০১৭১১-১৯৭০১২, +৮৮০১৬৭৪-০৭৪১৫৭, ইমেইল- [email protected], [email protected]
  • হোটেল হিলটাউন : ভিআইপি রোড, তেলি হাওড়, সিলেট, ☎ ০৮২১-৭১৮২৬৩, মোবাইল:- +৮৮০১৭১১৩৩২৩৭১, ৭১৬০৭৭, ওয়েব: www.hiltownhotel.com
  • নাজিমগড় রিসোর্ট : ☎ ০৮২১-২৮৭০৩৩৮-৯, ওয়েব: https://nazimgarh.com/

ওসমানী জাদুঘরে গেলে জরুরি নম্বরসমূহ

চিকিৎসা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য

  • ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল: ☎ ০৮২১-৭১৭ ০৫৫;
  • রাগিব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল: ☎ ০৮২১-৭১৯ ০৯০, ৭১৯ ০৯১-৬;
  • সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল: ☎ ০৮২১-২৮৩ ০৫২০;

জননিরাপত্তা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য

  • ওসি কোতয়ালী, সিলেট: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩৭৫।

আরও পড়ুন:

এছাড়াও আপনারা আমাদের সাইটে জানতে পারবেন নিত্য নতুন নিয়োগ, সরকারি চাকরি, বেসরকারি চাকরি, বিজ্ঞপ্তি, শিক্ষা নিউজ, তথ্য, আইন , দর্শনীয় স্থান ইত্যাদি । সবার আগে এসব সম্পর্কে জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন।

The post ওসমানী জাদুঘর সিলেট | Osmani Museum Sylhet appeared first on Proggapan.

]]>
https://proggapan.com/%e0%a6%93%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%81%e0%a6%98%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%9f-osmani-museum-sylhet/feed/ 0