রোমানিয়া ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা | Detailed Discussion On Romania Visa Processing System. রোমানিয়া দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। এর উত্তর-পূর্বে রয়েছে ইউক্রেন ও মলদোভা, পশ্চিমে হাঙ্গেরি এবং সার্বিয়া, দক্ষিণে বুলগেরিয়া ও দানিউব নদী। রোমানিয়ার পূর্বদিকে রয়েছে কৃষ্ণ সাগর, আর কার্পেথিয়ান পর্বতমালার পূর্ব ও দক্ষিণাংশ রোমানিয়ার মধ্যভাগে অবস্থিত। এর রাজধানীর নাম বুখারেস্ট। স্বাধীনতার পূর্বে এটি উসমানীয় সাম্রাজ্য অংশ ছিল ।রোমানিয়া ২০০৪ সাল হতে ন্যাটোর সদস্য, এবং অচিরেই এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে যাচ্ছে। ১ জানুয়ারি, ২০০৭ থেকে রোমানিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ সদস্য । রোমানিয়া হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের নবম বৃহত্তম আয়াতনের দেশ । এর আয়াতন হল ২৩৮.৪০০ বর্গ কিলোমিটার (৯২,০০০ বর্গ মাইল) । রোমানিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সপ্তম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ । রোমানিয়ার জনসংখ্যার ১৯ মিলিয়ন এর উপর । রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের দশম বৃহত্তম শহর যাতে প্রায় ২ মিলিয়ন বা ২০ লাখ লোকের বসবাস ।
এই পোস্টের বিষয়বস্তুসমূহ:
রোমানিয়া ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে শেঙ্গেন অঞ্চলের বাইরে থাকা ইউরোপের দেশগুলোতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের হার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এর মধ্যে অন্যতম রোমানিয়া। মধ্যপ্রাচ্য বা এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় ইউরোপে অদক্ষ শ্রমিক নেয়ার হার একেবারেই কম৷ সাধারণত হাই স্কিলড বা উচ্চ দক্ষ জনশক্তির জন্য তাদের দুয়ার খোলা থাকে৷ তবে অদক্ষ কর্মী বা শ্রমিক যে একেবারেই নেয় না তা নয়৷ সাধারণত আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, মরোক্কোসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যৌথ সরকারি চুক্তির মাধ্যমে মৌসুমি কৃষি ভিসায় এ ধরনের শ্রমিক চাহিদা পূরণ করে৷ ইটালি, গ্রিস, ফ্রান্স, স্পেনসহ কয়েকটি দেশ এই পদ্ধতিতে কৃষিসহ কয়েকটি খাতে শ্রমিক সংকট সামাল দিয়ে থাকে৷তবে এর বাইরেও বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, পাকিস্তান থেকে অনেক আধা দক্ষ ও অদক্ষ লোক ওয়ার্ক পারমিট বা কাজে অনুমতি থাকা ভিসায় ইউরোপে আসেন৷ এই দেশগুলোতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো মুনাফালোভী এজেন্সিগুলোর দৌরাত্মও কম নয়৷
Detailed Discussion On Romania Visa Processing System
শেঙ্গেনভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বিগত বছরগুলোতে পোল্যান্ড, মাল্টা এবং পর্তুগাল বেশ কিছু ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইস্যু করেছে৷ তবে এসব দেশে শ্রমিকরা না থেকে ইউরোপের অপেক্ষাকৃত ধনী দেশগুলোতে পাড়ি জমানোর কারণে সেখানেও এখন এসব ভিসায় আসার হার খুবই কম৷ অপরদিকে শেঙ্গেন অঞ্চলের বাইরে থাকা ইউরোপের বেশ কিছু দেশে কয়েক বছর ধরে কাজের ভিসায় বাংলাদেশিদের আসতে দেখা যাচ্ছে৷ সেসব দেশের মধ্যে অন্যতম রোমানিয়া৷ রোমানিয়া দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি দেশ৷ ২০০৭ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত দেশটি এখন শেঙ্গেন অঞ্চলে যোগ দেয়ার অপেক্ষায় আছে৷ আয়তনে ইউরোপের নবম বৃহত্তম দেশটির রাজধানী বুখারেস্ট৷ জনসংখ্যা প্রায় দুই কোটি৷
রোমানিয়ায় চলতি বছরে ইস্যু হয়েছে ৪৭১টি ভিসা
রোমানিয়ায় বাংলাদেশিদের কাজের ভিসায় আসার ইতিহাস খুব পুরনো নয়৷ তবে অতীতে আসা অনেকেই সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন৷ গত কয়েক বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের শ্রম বাজারে নতুন লোক নেয়া বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবে অভিবাসন প্রত্যাশীরা নতুন নতুন দেশের খোঁজে থাকেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় তথ্য প্রাপ্তিও বেশ সহজ হয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) রোমানিয়ার জেনারেল ইন্সপেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (জিআইআই)’র বরাত দিয়ে ইনফোমাইগ্রেন্টসকে জানিয়েছে, বিগত দুই বছরে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ব্যাঘাত ঘটলেও এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশিদের ৪৭১ টি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইস্যু করা হয়েছে৷ যেটি ২০২০ সালে ছিল ৩৬৫৷
আইওএম হেডকোয়ার্টার জেনেভার গণমাধ্যম বিষয়ক মুখপাত্র পল ডিলিয়ন ইনফোমাইগ্রেন্টসকে জানান, “উন্নয়নশীল দেশগুলোর নাগরিকদের কাজের ভিসা প্রদান নিঃসন্দেহে একটি ভালো সংবাদ৷ এর মাধ্যমে ইউরোপের দেশগুলো যেমন শ্রমিক সংকট দূর করতে পারবে তেমনি শ্রমিকরা রেমিট্যান্সের মাধ্যমে ভেঙে পড়া অর্থনীতি চাঙা করতে ভূমিকা রাখবে৷
রোমানিয়ায় বেতন ও স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ
ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো রোমানিয়ায় জীবনযাত্রার মান তেমন ব্যয়বহুল নয়৷ ২০১৯ সাল থেকে রাজধানী বুখারেস্টে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক ফরহাদ (ছদ্মনাম) ইনফোমাইগ্রেন্টসকে জানান, ‘‘আমি প্রতিমাসে ৫০০ ইউরো (প্রায় ৫০ হাজার টাকা) বেতন পাই৷ আমার থাকা খাওয়া মালিক প্রদান করে৷ এর বাইরে আমার হাত খরচের জন্য সর্বোচ্চ মাসে ৫০ ইউরো খরচ হয়৷’’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘আমি দিল্লি রোমানিয়া এম্বাসি থেকে এক বছরের দীর্ঘমেয়াদী ভিসা নিয়ে আসি৷ আইন অনুযায়ী এখানে প্রতি বছর ভিসা রিনিউ করতে হয়, যেটি তেমন ঝামেলার নয়৷ প্রথম কয়েক বছর টানা থাকার পরে ক্রমান্বয়ে দুই এবং পাঁচ বছরের টিআর বা অস্থায়ী থাকার অনুমতিপত্র দেওয়া হয়৷’’
সেখানে বসবাসরত সব বাংলাদেশিরা বৈধ অভিবাসী কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, ওয়ার্ক পারমিটে যারা এসেছেন তারা সবাই বৈধভাবেই দেশটিতে আছেন৷ তিনি অবৈধ উপায়ে বা অনিয়মিত প্রক্রিয়ায় কাউকে থাকতে দেখিনি।
রোমানিয়ায় প্রবেশের পরে বাংলাদেশিরা ইউরোপের ধনী দেশগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আসলে যেহেতু ওয়ার্ক পারমিটে বৈধভাবে সবাই আসে সুতরাং আবার অবৈধভাবে অন্য কোথাও গিয়ে অনিয়মিত হয়ে যাওয়ার ভয়ে কাউকে এরকম করতে দেখা যায় না৷’’
ভুল তথ্যের কারণে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বৈধ ভিসায় আসা বাংলাদেশিরা না জেনে অনিয়মিত অভিবাসী হয়ে পড়েন৷ যার ফলে বছরের পর বছর তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এভাবেই বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন৷
রোমানিয়ায় যেসব খাতে লোক নেওয়া হচ্ছে
বর্তমানে রোমানিয়াতে অবস্থানরত বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি প্রবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে এখনও পর্যন্ত মোটাদাগে নির্মাণখাতে ব্যাপকভাবে শ্রমিকের চাহিদা আছে৷ এছাড়া অনেকে বিভিন্ন কারাখানাতে শ্রমিক হিসেবে এবং কাঠমিস্ত্রী হিসেবেও কর্মরত আছেন। তবে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন মালিক ও কোম্পানির সাথে ভালো যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকদেরও রোমানিয়ায় ওয়ার্ক পারমিটে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান সেখানে বসবাসরত প্রবাসীরা।
অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসন এড়ানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কোন দেশে আসার আগে সেখানকার সব তথ্য জেনে নেওয়া। সেখানে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য যেসব বৈধ পথ আছে সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করা।
রোমানিয়ায় ২৫ হাজার নতুন কোটা
রোমানিয়া সরকারের জেনারেল ইন্সপেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (জিআইআই) জানায়, জরুরি অধ্যাদেশ ৯৪ এর আওতায় ১২ ডিসেম্বর ২০০২ তারিখ থেকে ইইউ বাইরে থেকে আগত অভিবাসীদের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং ‘টিআর’ বা টেম্পোরারি রেসিডেন্ট পারমিট প্রদান করা শুরু হয়। শ্রমবাজারে প্রতি বছর কত সংখ্যক বিদেশি শ্রমিক নেয়া হবে সেটি শ্রম ও সামাজিক সুরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে অনুমোদিত হয়। এটি শ্রম বাজারের গতিশীলতা এবং রোমানিয়ায় শ্রম অভিবাসনের নীতি অনুসারে প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট কোটা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের জন্য সর্বমোট ২৫,০০০ শ্রমিকের প্রাথমিক কোটা নির্ধারিত হয়েছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে রোমানিয়ান অর্থনীতি সচলের লক্ষ্যে আগস্ট মাসে আবার নতুন করে ২৫ হাজার বিদেশি কর্মী আসার অনুমোদন দেয়া হয়।
রোমানিয়ায় বাংলাদেশিদের সংখ্যা
জিআইআই ইনফোমাইগ্রেন্টস কে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান উল্লেখ করতে গিয়ে জানায়, ৩১ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত সর্বমোট তিন হাজার ৩০৩টি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইস্যু করা হয়েছে যেটি ২০২০ সালে ছিল এক হাজার ৭৮৯টি। এর মধ্যে ২০২১ সালে ৪৭১জন বাংলাদেশি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় রোমানিয়ায় এসেছেন।
জিআইআই আরও জানায়, ৩১ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত সর্বমোট ৭৪৭ জন বাংলাদেশি বৈধভাবে রোমানিয়াতে বসবাস করছেন, যাদের মধ্যে ৬৮৪ জন নাগরিক ওয়ার্ক পারমিটের আওতায় বসবাস করছেন। বাকিদের মধ্যে ২১জন পারিবারিক ভিসায়, ১৭জন ছাত্র হিসেবে এবং ১১জন দেশটিতে স্থায়ী নাগরিক হিসেবে বসবাস করছেন।
বিপুল সংখ্যক লোক আসা যেমন একদিকে অর্থনীতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, অপর দিকে ভুল তথ্যের জন্য তারা ইউরোপের অন্য দেশে প্রবেশ করে অবৈধ হয়ে পড়াটাও বেশ শঙ্কার। কারণ অনিয়মিত অভিবাসীদের ফেরত নিতে সহযোগিতা না করায় ইইউ কমিশনে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ, গাম্বিয়া এবং ইরাকসহ বেশ কয়েকটি দেশের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবনা করা হয়েছে।
রোমানিয়ায় সঠিক ভিসা ও কাজের অনুমতি যেভাবে বুঝবেন
জিআইআই জানিয়েছে, জরুরি অধ্যাদেশ ৯৪ এর আওতায় একজন বিদেশিকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আসতে অবশ্যই প্রথমে কোনো একটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি কাজের অনুমতি বা পারমিট নিতে হবে।
তারপরে তাকে ভিসার আবেদনের জন্য সশরীরে নিকটস্থ রোমানিয়া দূতাবাসে আবেদন জমা এবং বায়োমেট্রিকের ছাপ দিতে হবে। আবেদন গ্রহণযোগ্য হলে আবেদনকারী নিজে তার ভিসাসহ পাসপোর্ট সংগ্রহ করবেন দূতাবাস থেকে। এক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষ একজন আবেদনকারীর হয়ে দূতাবাসে কোনো কাজ করা সম্ভব নয়।
সুতরাং ভুয়া ভিসা থেকে দূরে থাকার উপায় হলো যাবতীয় কার্যক্রম দূতাবাসের মাধ্যমে হচ্ছে কি না সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা।
রোমানিয়ার ভিসা পেতে দরকার সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যৌথ সরকারি চুক্তির আওতায় কৃষি, নির্মাণ খাত সহ বিভিন্ন সেক্টরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে স্থায়ী ও অস্থায়ী দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক প্রেরণ করে থাকে। যার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের তেমন কোন বড় অংকের টাকা পরিশোধ করতে হয় না। অনিয়মিত অভিবাসন রোধে এটি হতে পারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কৌশল।
বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যে বিপুল শ্রমবাজারের পরে সরকারি উদ্যোগে ইউরোপের কোথাও এরকম উদ্যোগ নিতে দেখা যায় নি।
বর্তমানে বিভিন্ন এজেন্সির সাহায্যে একটি কোম্পানি থেকে ওয়ার্ক পারমিট আনতে একেক জন ব্যক্তিকে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। অনেক সময় আবেদনকারীদের না জানার সুযোগে বিপুল অংকের টাকা, সময় এবং ভুয়া তথ্যের কারণে অবৈধ অভিবাসনের পথে পা বাড়ান অভিবাসীরা।
রোমানিয়া দেশটি কেমন?
রোমানিয়া (Romania) একটি দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। রাজধানীর নাম বুখারেস্ট। রোমানিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সপ্তম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ । রোমানিয়ার উত্তর-পূর্বে ইউক্রেন ও মলদোভা, পশ্চিমে হাঙ্গেরি এবং সার্বিয়া, দক্ষিণে বুলগেরিয়া ও দানিউব নদী রয়েছে। স্বাধীনতার পূর্বে এটি উসমানীয় সাম্রাজ্য অংশ ছিল । ২০০৪ সাল হতে ন্যাটোর সদস্য, এবং খুব দ্রুত ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে যাচ্ছে রোমানিয়া। আয়াতন হল ২৩৮.৪০০ বর্গ কিলোমিটার (৯২,০০০ বর্গ মাইল) । রোমানিয়ার জনসংখ্যার ১ কোটি নব্বই লাখের বেশি। এই হল সংক্ষেপে রোমানিয়া দেশ সম্পর্কে সংক্ষেপ বর্ণনা।
রোমানিয়ার ভিসার খরচ কত?
৮ লাখ থেকে ৯লাখ টাকা মোট খরচ পড়তে পারে। এটি শুধুমাত্র একটি ধারণা দেওয়া হল। এর চেয়ে কম বা বেশিও হতে পারে।
কারণ এটা কাস্টমারের সাথে চুক্তির ধরণ অনুযায়ী ও অন্যান্য খরচের উপর ভিত্তি করে সময় সময় পরিবর্তন হয়।
এর মধ্যে থাকছে, ওয়ার্ক পার্মিট, ভিসা, ম্যানপাওয়ার ও এয়ার টিকেট। কাস্টমারকে ইন্ডিয়া যেতে হবে না।
রোমানিয়ার ভিসা পেতে সময় কত দিন লাগবে?
রোমানিয়ার জব ভিসা পেতে সর্বসাকুল্যে ৩ মাস থেকে ৪ মাস লাগতে পারে।
রোমানিয়ার ভিসা অনলাইনে চেক করা যাবে কি?
হাঁ, আপনি চাইলে আপনার পার্মিট টি রোমানিয়া সরকারের নির্ধারিত ওয়েবসাইট থেকে ভিসার পারমিট টি চেক করে নিতে পারবেন।
রোমানিয়ার ভিসা পেতে টাকা কি আগে দেবেন না ভিসা হবার পরে দেবেন?
দুই রকম সিস্টেম আছে। একটি হল যখন যে পরিমাণ টাকা লাগবে সেটি সময় সময় দেওয়া। অন্যটি হচ্ছে, কন্টাক বেসিস।
এ পদ্ধতিতে টাকা ভিসা হাতে পাওয়ার পর দিতে হবে। এক্ষেত্রে খরচ একটিু বেশি পড়ে।
রোমানিয়ার ভিসা পেতে বয়স কত লাগে?
রোমানিয়ায় সাধারণত ২২ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বয়স হলে জব ভিসার আবেদন করা যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে কিছু কম হলেও চলে।
রোমানিয়ায় কাজের ধরন, যোগ্যতা ও বেতন কত?
২০২১ সালে রোমানিয়াতে অবস্থানরত বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি প্রবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত নির্মাণখাতে ব্যাপকভাবে শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে৷ তাছাড়াও অনেকে বিভিন্ন কারাখানাতে শ্রমিক হিসেবে এবং কাঠমিস্ত্রী হিসেবেও কর্মরত আছেন।
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন মালিক ও কোম্পানির সাথে ভালো যোগাযোগের মাধ্যমে কাজ পাওয়া যায়।
দেশে বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যাক্তিরা রোমানিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যাওয়া খুব সহজ। তবে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য যেসব বৈধ পথ আছে সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করা অর্থাৎ নিজের যোগ্যতা তৈরি করা৷ তাহলে বেতন বাংলাদেশী টাকায় ৩০০০০ হাজার টাকা থেকে ৫০০০০০ লক্ষ টাকা হতে পারে।
রোমানিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন?
সত্যিকার অর্থে আলবেনিয়া, বসনিয়া, রোমানিয়া, বেলারুশ, ইউক্রেন প্রভৃতি দেশগুলি ইউরোপ মহাদেশের হলেও এসব দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ইউররোপের ধনী দেশগুলোর মতো তেমন উন্নত না ।
রোমানিয়া থেকে অন্যদেশ যাওয়া যাবে কি ?
অনেকেই মনে করেন কোনরকমে রোমানিয়ায় যেয়ে রোমানিয়ায় থেকে অন্য সেন্জেন কান্ট্রিতে পারি জমাতে চায়। আসলে বর্তমানে ইউরোপে অবৈধ ও অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে চলছে ব্যাপক অভিযান। এর মধ্যেই গ্রিস, পোল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ কঠিন সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় অনেকগুলো অবৈধ অভিবাসনের রুট এখন পুরপুরি বন্ধ রয়েছে।
আবার যেকোন দেশে ধরা পড়লে সে দেশের পুলিশ আঙুলের ছাপ নিয়ে থাকে। ফলে একজন অভিবাসী চাইলেও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করতে পারে না। এর কারণ ডাবলিন বিধিমালা অনুযায়ী একজন ব্যক্তির প্রথম আঙুলের ছাপ যেখানে সে দেশেই রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন জমা দিতে হয়। পূর্বে ডাবলিন বিধিমালা অতটা শক্তভাবে প্রয়োগ হতো না। ফলে যে কেউ চাইলেই ভ্রমণ ভিসায় এসে আশ্রয় আবেদন করতে পারত। কিন্তু বর্তমানে সেই সুযোগ নেই।
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কি ভাবে আবেদন করবেন ?
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট সাবমিশন নিয়ে অনেকের নানান টেনশন থাকে। আজকে রোমানিয়া সাবমিশন থেকে শুরু করে ভিসা পাওয়া পর্যন্ত কিভাবে কোথায় কি প্রসেস এর মাধ্যমে যায় আপনার ফাইল,সেটা আলোচনা করবো।
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট আবেদনের জন্য যা যা লাগবে।
★ভেলিড পাসপোর্ট মিনিমাম ১ বছর মেয়াদ থাকা লাগবে।
★একটি সাদা ব্যাকরাউন্ড এর ছবি।
★আপনার পুলিশ রিপোর্ট অবশ্যই মেয়াদ থাকা চাই।
প্রথমে আপনার এগুলাই লাগে সাধারন ভাবে,এগুলার স্কেন কপি করে দিলেও হবে।কিছু কিছু কোম্পানি পুলিশ রিপোর্ট এর মূল কপি চায়। তবে বেশির ভাগ কোম্পানি স্কেন কপি দিয়েই কাজ করে৷
আপনার ফাইল রোমানিয়াতে যাওয়ার পর,সেটাকে রোমানিয়ান ভাষায় ট্রান্সলেশন করা হয় এবং নোটারি করতে হয়,যার জন্য অন্তত ৭-১০ দিন সময় নেয়। এরপর আপনার ফাইল রোমানিয়ান ইমাগ্রিশন এ জমা করানো হয়।(অনেকেই ভেবে থাকেন যেদিন ফাইল দিছেন সেদিন থেকেই দিন গুনা শুরু করেন এইটা কাজের জন্য মোটেই ভাল দিক না।অনেক কোম্পানি তাদের ভেকেন্সি ফিলাপ করার পর সব গুলা এক সাথে জমা করে)
ইমাগ্রিশন এ জমা হওয়ার পর যত জনের ফাইল জমা করানো হবে সবার জন্য একটাই স্লিপ দিবে,আর সেটাতে লেখা থাকবে কবে জমা করছেন,আর কবে উত্তোলন করবেন এবং কত জনের ফাইল একসাথে জমা করানো হয়েছে।
রোমানিয়ার বেশির ভাগ কোম্পানি জমা করানোর ৩০ দিনের মধ্যে ডেলিভারি নিয়া নেয়। এইটা নরমাল সিস্টেম,মূলত ৩০ দিনই লাগে পারমিট ইস্যু হতে,অনেক সময় ২-২১ দিনেও উত্তোলন করতে পারে অনেকে।
উত্তোলনের পর আপনার কন্টাক্ট লেটার সহ সকল ডকুমেন্টস এর হার্ড কপি,আপনার ঠিকানায় কুরিয়ার করা হবে। এবং সেগুলা নিয়ে আপনি একটু ৬ মাসের ট্রাভেল ইন্সুইরেন্স করে রোমানিয়ান মিনিস্ট্রিতে সব গুলা ফাইলের স্কেন কপি অনলাইন করে দিন।অনলাইন করার সময় মনে রাখবেন কোম্পানি থেকে একটি মেইল বা যেকোন একটা সাপোর্ট ডকুমেন্টস নিয়া নিবেন,এতে করে ভিসা পেতে সুবিধা হবে।
অনলাইন করার পর কয়েকদিনের বিতর আপনাকে এম্বাসি থেকে এপয়েন্টমেন্ট দিয়ে দিবে। সেটাকে প্রিন্ট করে দিল্লীতে অবস্থিত রোমানিয়ান এম্বাসিতে তারিখ অনুযায়ী কাউকে অথুরাইজ করে পাঠান বা নিজে গিয়ে জমা করুন আপনার ফাইল। কোন সমস্যা নেই কোন রকম জিজ্ঞাসাবাদ নেই সেখানে।
এম্বাসিতে ফাইল জমা দেওয়ার পর যদি পারমিট রিয়েল হয় ইনশাআল্লাহ ৪-১০ দিনের বিতর ভিসা স্টিকার করে দিবে পাসপোর্টে।
আপনার মেইলে মেসেস আসবে পাসপোর্ট কালেক্ট করার জন্য,সময় মত গিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন।(অবশ্যই মনে রাখবেন ১ টার পর ডেলিভারি দিবে এম্বাসি এর আগে গিয়ে অপেক্ষা করে লাভ নেই।)
রোমানিয়া এম্বাসিতে যা যা লাগবেঃ
★অরজিনাল পাসপোর্ট যার মেয়াদ ১ বছর থাকা লাগবে।
★ছবি ২ কপি ৩৫×৪৫সাইজ সাদা ব্যাকরাউন্ড ল্যাব প্রিন্ট(মুখ,কান,গলা অবশ্যই দেখা যেতে হবে,যাদের দাড়ি আছে অবশ্যই দাড়ি ছোট করে যাতে গলা দেখা যায় এমন ভাবে ছবি দিবেন)
★অরজিনাল পুলিশ রিপোর্ট অন্তত ২ মাস যাতে মেয়াদ থাকে।
★ট্রাভেল ইন্সুইরেন্স ৬ মাসের।
★ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম (ফিলাপ করে নিবেন।)
★বুকিং টিকেট (কনফার্ম করা লাগবেনা)
★ওয়ার্ক পারমিট (কপি দিলেও হবে সমস্যা নাই)
★কন্টাক্ট লেটার (কপি দিলেও হবে)
রোমানিয়া এম্বাসিতে জমা দেওয়ার সময় আপনাকে কিছুই জিজ্ঞাস করা হবেনা,শুধু একটা ফর্ম দিবে নাম ঠিকানা লিখে দিবেন। আর ডেলিভারির সময় সব রেখে দিবে শুধু পাসপোর্ট,ওয়ার্ক পারমিট কন্টাক্ট লেটার পিরিয়ে দিবে।সুতরাং হায় হুতাশ করবেন না এগুলা নিয়ে।
রোমানিয়ান ভিসা কীভাবে পাবেন?
রোমানিয়ান ভিসার আবেদন ইস্তাম্বুল বা আঙ্কারায় অবস্থিত কনসুলেটগুলিকে ধন্যবাদ, এটি আপনাকে মাত্র তিন দিনের মধ্যে ভিসার ফলাফলটিতে পৌঁছানোর অনুমতি দেয়। রোমানিয়ান ভিসা পদ্ধতি তুরস্ক থেকে 26 টি পৃথক দেশে যাওয়ার চুক্তি প্রক্রিয়াটির আলাদা কাঠামো রয়েছে। আপনি যখন গ্রিসে ভিসা পাবেন, আপনি অন্যান্য সদস্য দেশগুলিতে ভ্রমণ করতে সক্ষম হবেন, তবে সদস্য না হওয়ার কারণে রোমানিয়ার এই বৈশিষ্ট্যটি নেই।
- আপনি যদি দেশে প্রবেশ করেন তবে আপনাকে অবশ্যই সদস্য দেশগুলিতে ভ্রমণের জন্য ভিসা থাকতে হবে।
- ভিসার অ্যাপ্লিকেশনগুলি রোমানিয়ান কনস্যুলেটের মাধ্যমে করা যেতে পারে। তুরস্কের সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের দামের মাধ্যমে রোমানিয়ান ভিসা ফি প্রয়োজনীয় নথি সরবরাহের পরে দেশে ভ্রমণ করা সম্ভব।
- কনস্যুলেটের সাথে ব্যক্তিগত বৈঠকগুলি আপনাকে মাত্র 3 দিনের মধ্যে ভিসা দেওয়ার অনুমতি দেয়। আমরা নিশ্চিত করি যে আপনার ভ্রমণের ক্ষেত্রে আপনার কোনও সমস্যা নেই, আপনার দস্তাবেজটি হারিয়েছে না এবং ভিসাটি সমস্ত গ্রহণযোগ্য নথি সহ উপস্থাপিত হয়েছে।
- মেরিনা ভিসা আবেদন কেন্দ্র শিক্ষার্থীদের জন্য 15 দিনের মধ্যে, আমাদের সমস্ত ক্লায়েন্টদের জন্য 3 দিনের মধ্যে যারা অন্যান্য ভিসা ধরণের জন্য আবেদন করে রোমানিয়ান ভিসার উদাহরণ আমরা ভিসা থাকার জন্য পরিষেবা সরবরাহ করি।
রোমানিয়ান ভিসা প্রকারভেদ
আমরা বিভিন্ন ধরণের ভিসায় সর্বাধিক সাশ্রয়ী মূল্যের মূল্যে পরিষেবাগুলি সরবরাহ করতে থাকি, বিশেষত রোমানিয়া ভ্রমণের সময়। রোমানিয়ার ভিসা পরামর্শদাতা আমাদের ক্রিয়াকলাপগুলি তুরস্কে কনস্যুলেটগুলি অব্যাহত না রেখে ক্রমানুসারে নিজেকে প্রস্তুত করা এবং আপনার কাগজপত্রগুলির জন্য অপেক্ষা করা দরকার।
যেহেতু সমস্ত নথি পর্যটন, বাণিজ্যিক, শিক্ষার্থী ভিসা, বিবাহ ভিসা এবং অন্যান্য ধরণের ভিসায় পরিবর্তিত হয়, তাই আপনার ভ্রমণের জন্য কোনটি প্রয়োজন তাও আমরা তথ্য সরবরাহ করি। আপনি সর্বদা আমাদের সংস্থায় আবেদন করতে পারেন এবং শেেনজেন দেশগুলি ছাড়াও, আপনি চুক্তি ব্যতীত রোমানিয়ার মতো দেশগুলির জন্যও ভিসা পেতে পারেন। দেশে ভ্রমণের জন্য ভিসার জন্য নির্ধারিত ফি $ 70। রোমানিয়ান ভিসা প্রকারগুলি নিম্নরূপ: শিক্ষার্থী, পর্যটন ভ্রমণ, বিবাহ ভিসা, ট্রানজিট, ডি প্রকার এবং বিশেষ দর্শন ভিসার ধরণগুলি $ 70 সাধারণ ভিসা ফি fee
রোমানিয়া পর্যটক ভিসা:আপনি যদি ট্যুরিস্টিক উদ্দেশ্যে দেশে যেতে চান তবে এই ধরণের ভিসার জন্য আপনি 7 বা 15 দিনের ভিসা পেতে পারেন। কনস্যুলেট কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ভিসার ধরণের এবং ভিসা প্রাপ্তির কারণে আবেদনের ক্ষেত্রে রোমানিয়ার জন্য 1 মাস, 3 মাস, আবাসিক ভিসা, ভিসা নেওয়া যেতে পারে।
রোমানিয়ান কাজের ভিসা: আপনি যে কোনও কর্মক্ষেত্রেই থাকুন না কেন, আপনি যে ডকুমেন্টটি নিয়ে রোমানিয়ায় কাজ করবেন তা অবশ্যই একটি আমন্ত্রণ পেয়েছেন। আপনার পরিচয়পত্রের একটি ফটোকপি, পাসপোর্ট, দুটি ফটো, আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য সম্পর্কিত একটি দলিল, থাকার জায়গার প্রমাণ, পাসপোর্টের ফটোকপি, ব্যাঙ্কের পাসবুকের মূল অনুলিপি, এবং গত তিন মাসের আয়ের চিত্র দেখিয়ে একটি নথি থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। অবশিষ্ট দলিলগুলি আমাদের সংস্থা দ্বারা সম্পন্ন হবে এবং তারপরে রোমানিয়ান কনস্যুলেটে একটি আবেদন করা হবে।
রোমানিয়ান শিক্ষা ভিসা: আপনি যদি রোমানিয়ার প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান, আপনি এই মুহুর্তে যে বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন তার কাছ থেকে আপনার একটি সমতুলিয়ান রোমানিয়ান স্কুল থেকে একটি আমন্ত্রণ পাওয়া উচিত। যদি আগত আমন্ত্রণপত্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রোগ্রামগুলির জন্য শিক্ষা, বিশেষ প্রোগ্রাম অব্যাহত থাকে, আপনাকে অবশ্যই আপনার পরিচয়ের একটি অনুলিপি, আপনার পাসপোর্টের একটি অনুলিপি, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মূল এবং ফটোকপি এবং শেষ তিন মাসের আয় দেখানো একটি নথি প্রস্তুত করতে হবে। আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য, একটি রোমানিয়ান শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক প্রদত্ত একটি বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা চিঠি, একটি পাসপোর্ট, একটি আবেদনপত্র এবং দুটি ফটো সহ শিক্ষার জন্য ভিসা পেতে পারেন।
রোমানিয়ান বিবাহ ভিসা: যারা রোমানিয়ান নাগরিকের সাথে বিবাহিত তাদের নাগরিকত্বের দিকে প্রথম পদক্ষেপ নিতে বিবাহ ভিসা নিতে হবে। ট্যুরিস্ট ভিসার মতো নয়, কিছুক্ষণ পরেই দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পাওয়া সম্ভব। রোমানিয়ার আপনার স্ত্রীর ঠিকানা, রোমানিয়ান বিবাহের শংসাপত্র বা পাসপোর্ট সহ আপনার রোমানিয়ান পত্নীর আইডি কপি, ফৌজদারি রেকর্ডটি অবশ্যই মূল এবং তারিখের হতে হবে। 7 মাসের ভ্রমণ স্বাস্থ্য বীমা এবং অনলাইন আবেদন ফর্মটি আমাদের সংস্থা সরবরাহ করবে। বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রি পত্রিকার বাণিজ্যিক ফটোকপি, পাসপোর্টের প্রথম পৃষ্ঠার ফটোকপি, পরিচয়ের ফটোকপি, জনসংখ্যা নিবন্ধের নমুনা, এসএসআই প্রবেশের ঘোষণা, পাসপোর্ট, ২ টি ছবি
রোমানিয়া এক্সপ্রেস ভিসা: কনস্যুলেটে আবেদন করার জন্য, ভিসার সময়সীমা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছোট করার জন্য অনুরোধ করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের বাদে লেনদেন সর্বদা তিন কার্যদিবসের মধ্যে সর্বশেষে শেষ করা হয়। আপনি 7 দিন, 15 দিন, 1 মাস, 1 বছর বা কনস্যুলেটের মাধ্যমে ভিসা পেতে পারেন। সমস্ত ব্যক্তিগত ভিজিট, বাণিজ্যিক, ডি-টাইপ, শিক্ষার্থী এবং ট্যুরিস্টিক ভ্রমণের জন্য ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে 3 দিনের মধ্যে ভিসা দেওয়া যেতে পারে।
রোমানিয়া বাণিজ্যিক ভিসা: আমরা বাণিজ্যিক ক্রিয়াকলাপ চালাতে রোমানিয়ায় যেতে চায় এমন ব্যক্তিদের আমরা যে পরিষেবা প্রদান করি সে ক্ষেত্রে আমরা রোমানিয়ার প্রতিষ্ঠান থেকে নথিগুলির অনুরোধ করি। আপনার অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট, আপনার আবেদনের ফর্ম, সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড সহ 6 টি ছবি 2 মাসেরও বেশি পরে নেওয়া উচিত নয়, সংস্থাটির লেটারহেডে স্বাক্ষর করার জন্য অনুমোদিত ব্যক্তি কর্তৃক লিখিত ভ্রমণ উদ্দেশ্যে নথিগুলি।
পাসপোর্টের প্রথম পৃষ্ঠার ফটোকপি, পরিচয় পত্রের ফটোকপি, আপনার ব্যাঙ্কের পাসবুকের মূল এবং ফটোকপি, এসএসআই নিয়োগের ঘোষণা বা এসএসকে নিয়োগের দলিল, গত তিন মাসের ক্রিয়াকলাপের শংসাপত্র, সংস্থার বর্তমান স্বাক্ষরের বিজ্ঞপ্তির ফটোকপি, বাণিজ্যিক নিবন্ধের পত্রিকার ফটোকপি, কমপক্ষে 30 হাজার একটি ইউরো-গ্যারান্টিযুক্ত স্বাস্থ্য বীমা নথি প্রয়োজন। যদি এমন কোনও সংস্থা থাকে যেখানে আপনি বাণিজ্যিক ভিসা পদ্ধতি তৈরি করতে পারেন তবে একটি আমন্ত্রণের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
মেরিনা ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার
আকসরায় মহললেসি তেসেডডেট সোকাক
নং: 19/3 ফাতিহ / ইস্তানবুল
ই-মেইল: [email protected]
ওয়েব: https://www.marinavize.com
আরও পড়ুন:
মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে ২০২২ | Malaysia Visa Open Date 2022
এছাড়াও আপনারা আমাদের সাইটে জানতে পারবেন নিত্য নতুন নিয়োগ, সরকারি চাকরি, বেসরকারি চাকরি, বিজ্ঞপ্তি, শিক্ষা নিউজ, তথ্য, আইন , দর্শনীয় স্থান ইত্যাদি । সবার আগে এসব সম্পর্কে জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন।