চাকরির দরখাস্ত বা আবেদন প্রত্র কিভাবে লেখতে হয়ঃ চাকরির আবেদনপত্র বা কভার লেটারআপনার পুরো সিভির একটা সংক্ষিপ্তরূপ কিংবা আপনি কোন পদে আবেদন করছেন এবং এইচআর ম্যানেজারকে আপনার সিভিটি দেখতে বাধ্য বা আকৃষ্ট করার জন্য আধুনিক যুগের অন্যতম হাতিয়ার হলো “চাকরির আবেদনপত্র” বা ‘কভার লেটার’।
এই পোস্টের বিষয়বস্তুসমূহ:
চাকরির দরখাস্ত বা আবেদন প্রত্র লেখার নিয়মঃ
আপনি যে কোন ধরনের দরখাস্ত লিখেন না কেন , দরখাস্তের বিষয় বস্তু ভিন্ন হলেও প্রায় সকল দরখাস্ত লিখতে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হয়। যে বিষয়গুলা বাদ দিলে দরখাস্ত পুরিপূণতা পায় না ।একেকি বিষয়ে দরখাস্ত লেখার স্টাইল একেক রকম । যেমন ধরুন স্কুলে ছুুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম এক রকমের অফিসে ছুটির দরখাস্ত লেখার নিয়ম আরেক ধরনের । আবার চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম এক আবার চাকরি হতে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য আবেদন জন্য আবেদন আরেক ধরনের । দরখাস্ত লিখতে হলে যে ছয়টি বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে সেগুলি হলো –
আবেদন প্রত্র এর ছয়টি নিয়মঃ
- তারিখঃ দরখাস্তের শুরতেই তারিখ লিখতে হয়। অনেকেই আবার দরখাস্তের শেষ তারিখ লেখে যাহোক যেখানেই লেখুক একটি দরখাস্ত লিখতে তারিখ লাগবেই । আপনি যে তারিখে দরখাস্ত জমা দিবেন সেই তারিখ দিয়ে দরখাস্ত লিখতে হবে।
- প্রাপকঃ দুই নাম্বার পয়েন্ট প্রাপক, এই প্রাপক ছাড়াও কিন্তু দরখাস্ত কল্পনা করা যায় না । কারন দরখাস্ত যার কাছে পাঠাবেন সেই তো প্রাপক এখন যদি আপনি দরখাস্তে প্রাপকের নাম ঠিকানা না লিখেন তাহলে সেই দরখাস্তের কোন মুল্যই নেই।
- দরখাস্তের বিষয়ঃ দরখাস্ত লেখার এইটা একটি গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট । আপনি কি বিষয়ে দরখাস্ত লিখতে চান সেটা আপনাকে উল্লেখ করতে হবে।
- সম্ভাষণঃ এটা একটি সিরিয়াস পয়েন্ট । আপনি দরখাস্ত লিখতে যদি স্যার/মেডাম/মহদোয়/ এসব সম্মান সূচক কোন শব্দ না লিখেন তবে আপনার দরখাস্ত লেখার আদবই ঠিক থাকবে না এবং আপনার দরখাস্ত মুঞ্জুর না হওয়ার গ্যরান্টি ৯৯% !
- মুল বক্তব্যঃ এই পয়েন্টটা যেকোন দরখাস্ত বা চিঠির সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ন বিষয় । এই পয়েন্টে এসে আপনি কি উদ্দেশ্যে দরখাস্ত লিখছেন সেটা বর্ণনা করবেন । আপনার কিছু চাওয়ার থাকলে সেটা চাইবেন ।
- নিবেদকঃ দরখাস্ত/আবেদন পত্র/চিঠি পত্র লেখার শেষ ধাপ হলো নিবেদক অংশ । এই অংশে আবেদনকারী তার নাম ঠিকানা তার পদবী উল্লেখ্য করে থাকেন । এইটা কিন্তু কম গুরুত্বর্পূন বিষয়না । আবেদন পত্রে যদি আবেদনকারীর নাম ঠিকানা সঠিকভাবে না লেখা থাকে তবে সেই আবেদন মঞ্জুর হবে কিসের উপর ?
১। সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির আবেদন
তারিখ-০১/০১/২০২১ খ্রিঃ
বরাবর
সভাপতি
……………….. উচ্চ বিদ্যালয়
কুলাউড়া, মৌলভীবাজার।
বিষয়ঃ সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন।
জনাব
যথাবিহীত সম্মান পূর্বক নিবেদন এই যে, গত ০১/০১/২০২১ খ্রিঃ তারিখে “দৈনিক যুগান্তর” পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, সহকারী শিক্ষক পদে আপনার প্রতিষ্ঠানে কিছু সংখ্যক লোক নিয়োগ করা হবে। আমি উক্ত পদের একজন প্রার্থী হিসেবে নিম্নে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত ও আনুষাঙ্গিক তথ্যাদি মহোদয়ের নিকট উপস্থাপন করছি।
১। নামঃ
২। পিতার নামঃ
৩। মাতার নামঃ
৪। বর্তমান ঠিকানাঃ
৫। স্থায়ী ঠিকানাঃ
৬। জন্ম তারিখঃ
৭। জাতীয়তাঃ
৮। জাতীয় পরিচয় পত্র নংঃ
৯। বৈবাহিক অবস্থাঃ
১০। ধর্মঃ
১১। মোবাইল নাম্বারঃ
১২। রক্তের গ্রুপঃ
১৩। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
পরীক্ষার নাম | গ্রুপ/বিষয় | বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয় | পাশের সন | প্রাপ্ত গ্রেড |
এসএসসি | বিজ্ঞান | সিলেট | ২০০৬ | জিপিএ-৫ |
এইচএসসি | বিজ্ঞান | সিলেট | ২০০৮ | জিপিএ-৫ |
বিএসএস | রাষ্ট্রবিজ্ঞান | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় | ২০১২ | প্রথম শ্রেণী |
এমএসএস | রাষ্ট্রবিজ্ঞান | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় | ২০১৩ | প্রথম শ্রেণী |
১০। অভিজ্ঞতাঃ
অতএব, মহোদয়ের নিকট বিনীত আবেদন এই যে, উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা বিবেচনাপূর্বক উক্ত পদের একজন প্রার্থী হিসেবে আমাকে মনোনীত করতে আপনার মর্জি হয়।
বিনীত
(মাহমুদুল হাসান)
মোবাঃ ০০০০০০০০০০০০০০০
সংযুক্তিঃ
১। পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি ২ কপি।
২। সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি।
৩। চারিত্রিক সনদপত্র।
৪। নাগরিকত্ব সনদপত্র।
৫। জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি।
৬। ১০০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট।
আরও পড়ুনঃ
সরকারের আদেশ, গেজেট, বিজ্ঞপ্তি, পরিপত্র, চাকরির খবর ও শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে জানতে প্রজ্ঞাপন এর ফেইসবুক পেইজটি লাইক দিয়ে সাথে থাকবেন।