কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা কি বিস্তারিত আলোচনা ও তথ্য ২০২২ | Health And Care Visa Uk 2022. আজ আমরা কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা কি বিস্তারিত আলোচনা ও তথ্য আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো। আশা করছি এই আলোচনা থেকে আপনারা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।
কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা কি বিস্তারিত আলোচনা ও তথ্য ২০২২
কেয়ার ওয়ার্কার ভিসাঃ ব্রিটেনে কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা চালু হচ্ছে, বাংলাদেশিদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। কেয়ার স্টাফদের জন্য ভিসানীতি শিথিল করছে ব্রিটেন। তার মানে নতুন করে কেয়ার ওয়ার্কার আসার সুযোগ তৈরি হচ্ছে ব্রিটেনে। এই ভিসার আওতায় বাংলাদেশ থেকেও অনেকে আবেদন করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে কেয়ার ওয়ার্কারদের জন্য শিক্ষা ও কাজের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে।
Health And Care Visa Uk 2022
Health And Care Visa Uk 2022 কেয়ার ওয়ার্কার ভিসায় কতজন লোক নেবে ব্রিটেনে করোনাকালীন কেয়ার ওয়ার্কার সংকট চলছে। তাছাড়া বেক্সিটের কারণে অনেক কর্মী চলে গেছেন। এরই মধ্যে ব্রিটেনে কেয়ার ওয়ার্কার, কেয়ার এসিসটেন্স এবং হোম কেয়ার কর্মীদের জন্য অভিবাসন নিয়ম শিথিল করা হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে স্বিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে বলা হয়েছে, কর্মীদের শূন্যতা পূরণের জন্য বিদেশ থেকে হাজার হাজার অতিরিক্ত কেয়ার ওয়ার্কার নিয়োগ করা হবে। কেয়ার কর্মীদের শূন্যতা তৈরি হচ্ছে এবং টার্নওভারের সম্মুখীন হচ্ছেন। এ ছাড়া ওমিক্রনের কারণে কর্মীদের ওপর বাড়তি চাপ বাড়ছে।
কেয়ার ওয়ার্কার ভিসায় কবে থেকে লোক নেওয়া হবে
কেয়ার ওয়ার্কার ভিসায়ঃ নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে কর্মীদের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার কমেছে। গবেষকরা বলেছেন, স্টাফ সংকটের কারণে দুর্বল বয়স্ক ব্যক্তিদের কেয়ার হোমগুলো বন্ধ হচ্ছে।
আর এ কারণে শূন্যতা পূরণ করার জন্য কেয়ার কর্মীদের হোম অফিসের ঘাটতি পেশার তালিকায় যুক্ত করা হবে। তার মানে এ খাতে বাইরে থেকে কর্মী আনার তালিকায় যুক্ত করা হবে।
কেয়ার ওয়ার্কারদের বেতন দেওয়া কত হবে
কেয়ার ওয়ার্কারদের বেতনঃ ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে জানা গেছে, ব্রিটেনের বাইরে থেকে আসা কর্মীদের বছরে ২০ হাজার ৪৮০ পাউন্ড বেতন দেওয়া হবে। কেয়ার ওয়ার্কার তাদের পরিবার মানে স্বামী বা স্ত্রী ও সন্তানসহ ব্রিটেনে আসার ভিসা পাবেন।
আরও বলা হয়েছে, আগামী বছর যে কোনো সময় নতুন নিয়মগুলোর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।
কেয়ার ওয়ার্কারদের ভিসার মেয়াদ কতদিনের হবে
কেয়ার ওয়ার্কারদের ভিসার মেয়াদঃ ধারণা করা হচ্ছে কেয়ার ওয়ার্কারদের ক্ষেত্রে ১২ মাসের ভিসার সুযোগ থাকবে।
কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি প্যাটেল কি বলেছেন
স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি প্যাটেল বলেছেন, কেয়ার খাত করোনা মহামারির কারণে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে এবং সরকার স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ভিসায় যে পরিবর্তন করছে তা কর্মশক্তিকে শক্তিশালী করবে। বর্তমানে যে চাপের মধ্য দিয়ে সরকার যাচ্ছে তা অনেকটাই দূর হবে।
ন্যাশনাল কেয়ার ফোরামের চিফ এক্সিকিউটিভ ভিক রেনার বলেছেন, এ পদক্ষেপ নতুন বছরের জন্য আশার ঝলক। অতিরিক্ত দক্ষ কর্মী প্রয়োজন, যা নতুন এই নিয়মের কারণে পাওয়া সম্ভব হবে।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে সৌদি আরবের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাবেন ২০২২ | Saudi Arabia New Visa Rules 2022
ব্রিটেন দেশটি কেমন
ব্রিটেন দেশটি কেমনঃ গ্রেট ব্রিটেন হল মহাদেশীয় ইউরোপের উত্তর-পশ্চিম উপকূল থেকে কিছু দূরে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপ। এই দ্বীপের আয়তন ২,২৯,৮৪৮ কিমি২ (৮৮,৭৪৫ মা২)। এটি ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ তথা ইউরোপের বৃহত্তম দ্বীপ এবং বিশ্বের নবম বৃহত্তম দ্বীপ। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে এই দ্বীপের জনসংখ্যা ৬১,০০০,০০০। ইন্দোনেশিয়ার জাভা ও জাপানের হনসুর পরেই এটি বিশ্বের তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল দ্বীপ। গ্রেট ব্রিটেনকে ঘিরে রয়েছে ১০০০টিরও বেশি ছোটো দ্বীপ। আয়ারল্যান্ড দ্বীপটি এই দ্বীপের পশ্চিম দিকে অবস্থিত।
এই দ্বীপটি গ্রেট ব্রিটেন ও উত্তর আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্যের অঙ্গ। দ্বীপটি ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলস, এই তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত। এই তিন অঞ্চলের রাজধানী যথাক্রমে লন্ডন, এডিনবরা ও কার্ডিফ। রাজনৈতিকভাবে, গ্রেট ব্রিটেন বলতে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলস এবং এই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত পার্শ্ববর্তী দ্বীপগুলিকে বোঝায়।
ব্রিটিশ সংবিধানের উৎসগুলি কি কি?
ব্রিটিশ সংবিধানের উৎসগুলি কি কি? গণতন্ত্রকামী জনগণের আশা আকাংক্ষা ও চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে যুগ যুগ ধরে ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়ে পূর্ণতা অর্জন করেছে ব্রিটিশ সাংবিধানিক আইন। তাই ব্রিটিশ সংবিধান বিশ্বের সকল সংবিধানের মাতৃস্বরুপ। এই আইনের উৎসসমূহ নিম্নরুপঃ
- সনদ ও চুক্তি;
- বিধিবদ্ধ আইন;
- সাধারণ আইন;
- বিচারকের সিদ্ধান্ত;
- শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি; এবং
- পাঠ্য পুস্তক।
ব্রিটিশ সনদ ও চুক্তি কেমন
ব্রিটিশ সনদ ও চুক্তি কেমনঃ ঐতিহাসিক সনদপত্র ও বিভিন্ন চুক্তিসমূহ ব্রিটিশ সংবিধানের এক অন্যতম উৎস। ১২১৫ সালের ম্যাগনা কার্টা, ১৬২৬ সালের পিটিশন অব রাইটস, ১৬৬৯ সালের বিল অব রাইটস, ১৭০১ সালের এ্যাক্ট অব সেটেলমেন্ট প্রভৃতি, দলিলপত্র উল্লেখযোগ্য।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে গ্রীস স্পন্সর ভিসায় যাওয়া যাবে ২০২২ | How To Go Greece Sponsor Visa 2022
ব্রিটিশ বিধিবদ্ধ আইন কেমন
ব্রিটিশ বিধিবদ্ধ আইন কেমনঃ বিধিবদ্ধ আইন ব্রিটিশ সাংবিধানিক আইনের অন্যতম উৎস। বিভিন্ন সময়ে পার্লামেন্ট আইন প্রণয়ন করে শাসনতন্ত্র রচনার পথ সুগম করেছে। ব্রিটিশ সরকারের ক্ষমতা ও কার্যাবলী, নির্বাচন সংক্রান্ত বিধিমালা, সরকারী কর্মচারীদের কার্যাবলী ইত্যাদি সম্পর্কে পার্লামেন্ট অনেক সংস্কারমূলক আইন প্রণয়ন করেছে। এগুলির মধ্যে ১৮৩২, ১৮৬৭ ও ১৮৮৪ সালের সংস্কার আইন, ১৯১১ ও ১৯৪৯ সালের পার্লামেন্ট আইন, ১৬৭৯ ও ১৮১৬ সালের হেবিয়াস কর্পাস এ্যাক্ট, ১৯৩১ সালের ওয়েষ্টমিনিষ্টার আইন এবং ১৯৪৯ সালের রিপ্রেজেন্টেশন অব দি পিপলস এ্যাক্ট, প্রভৃতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
ব্রিটিশ সাধারণ আইন কেমন
ব্রিটিশ সাধারণ আইন কেমনঃ কমন ল’ ব্রিটিশ সংবিধানের প্রধান উৎস। যুগ যুগ ধরে জনগণের চাহিদা ও পরিবেশ অনুযায়ী স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফুর্তভাবে এই আইন গড়ে উঠেছে। এগুলি পার্লামেন্ট কর্তৃক যথারীতি অনুমোদিত না হলেও আদালত কর্তৃক আইন হিসেবে স্বীকৃত ও মর্যদা লাভ করেছে। বাক স্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা, জুরির সাহায্যে বিচারের অধিকার, রাজা বা রাণীর বিশেষ ক্ষমতা প্রভৃতি সাধারণ আইনের অন্তর্গত। তাই প্রফেসর জেনিং এগুলিকে সংবিধানের মূল চালিকাশক্তি বলে অভিহিত করেছেন।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে ইতালি স্পন্সর ভিসায় যাওয়া যাবে ২০২২ | How To Go Italy Sponsor Visa 2022
ব্রিটিশ বিচারকের সিদ্ধান্ত কেমন
ব্রিটিশ বিচারকের সিদ্ধান্ত কেমনঃ প্রচলিত আইন পার্লামেন্ট কর্তৃক প্রণীত আইন এবং বিভিন্ন সনদের ব্যাখ্যা প্রদান করতে গিয়ে বিচার বিভাগ কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যা ব্রিটিশ সংবিধানকে অনেকাংশে প্রভাবিত করেছে। যেখানে সরকারের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে তখন তা নিরসনের জন্য আদালত যে রায় দিয়েছে তাও ব্রিটিশ সংবিদানের অন্যতম উৎস হিসেবে গণ্য। এই কারণেই ডাইসী (Dicey) ব্রিটেনের সংবিধানকে বিচারকের তৈরী সংবিধান বলে অভিহিত করেছেন।
ব্রিটিশ শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি বা রেওয়াজ কেমন
ব্রিটিশ শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি বা রেওয়াজ কেমনঃ শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি বা রেওয়াজ ব্রিটিশ সংবিধানের উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে রেখেছে। দেশাচার, চিরাচরিত আচরণবিধি, অভ্যাস, রাজনৈতিক রীতি ও প্রথাসমূহকে অধ্যাপক ডাইসী (Dicey) শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতি (Conventions of the Constitution) বলে অভিহিত করেছেন।
J. S. Mill এই গুলিকে শাসনতন্ত্রের অলিখিত বিধান (Unwritten maxims of the constitution) William Anson এগুলিকে শাসনতান্ত্রিক প্রথা (Cumtoms of the constitution) বলে উল্লেখ করেছেন। যদিও এগুলি আইন নয়, তথাপিও আইনের মতই এগুলি মান্য করা হয়।
উদাহরণস্বরুপ, রাজার সহিত মন্ত্রীদের, মন্ত্রীদের সহিত পার্লামেন্টের সম্পর্ক, পার্লামেন্টের সহিত অভ্যন্তরীণ কার্যপদ্ধতি ইত্যাদি বহু বিষয় শাসনতান্ত্রিক রীতিনীতির অন্তর্ভূক্ত। এগুলি অমান্য করলে আদালতে দায়ী হতে হয় না বটে, কিন্তু লোক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়। তাই বলা যায় যে, শাসন ব্যবস্থা সম্পর্কিত যে সকল রীতিনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেগুলি ব্রিটিশ সংবিধানকে প্রাণবন্ত ও মহিয়ান করে তুলেছে।
ব্রিটিশ পাঠ পুস্তক কেমন
ব্রিটিশ পাঠ পুস্তকঃ শাসনতান্ত্রিক আইন বিষয়ে বিভিন্ন আইন বিজ্ঞানীদের প্রণীত পুস্তকাদিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসেবে এ সকল পুস্তক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরুপ, Lasky: Parliamentary Government in England; Dicey: Law of the Constitution; Anson: Law and custom of the Constitution, ইত্যাদি। উপরোক্ত আলোচনা হতে প্রতীয়মান হয় যে, ব্রিটিশ সংবিধানের উৎস বহুবিধ এবং বিভিন্ন স্রোতধারার সমন্বিত রুপ হচ্ছে ব্রিটিশ সংবিধান।
- আরও পড়ুনঃ
- দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ কত বিস্তারিত জানুন | Visit Visa For Dubai For 3 Months Price
- স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডন কত টাকা লাগবে, কিভাবে ভিসা প্রসেসিং করা যাবে | How Much Does A Student Visa Cost In London
- মালয়েশিয়া ভিসা কবে খুলবে ২০২২ | Malaysia Visa Open Date 2022
- রোমানিয়া ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা | Detailed Discussion On Romania Visa Processing System
এছাড়াও আপনারা আমাদের সাইটে জানতে পারবেন নিত্য নতুন নিয়োগ, সরকারি চাকরি, বেসরকারি চাকরি, বিজ্ঞপ্তি, শিক্ষা নিউজ, তথ্য, আইন , দর্শনীয় স্থান ইত্যাদি । সবার আগে এসব সম্পর্কে জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন।